বিদ্রোহী হামলা মিয়ানমারের সামরিক কলেজে
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর একটি কলেজসহ পাঁচটি লক্ষ্যে হামলা হয়েছে। স্থানীয় বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।মিয়ানমারের একজন সেনা মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলায় অভিজাত সামরিক কলেজটির অন্তত একজন বেসামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন। বিদ্রোহীরা পুলিশের একটি দফতর পুড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই সেনা মুখপাত্র।
কয়েক দশক ধরেই শান রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে। সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলোর অধিক স্বায়ত্বশাসনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী এখানে লড়াই করছে। রাজ্যের পায়িন উ লউয়িন শহরে ডিফেন্স সার্ভিস টেকনোলজিক্যাল একাডেমিতে ও অপর চারটি জায়গায় হামলার দায় স্বীকার করেছে ওই অঞ্চলে তৎপর বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট নর্দান অ্যালায়েন্স।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তুন তুন নাই জানিয়েছেন, নাউং চো শহরে গোকটেক ভায়াডাক্ট রেলওয়ে সেতুর কাছে সৈন্যরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে। ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে পার্বত্য এই রেলসেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বিদ্রোহীরা আরেকটি সেতু ধ্বংস করার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পুলিশের একটি দফতরও পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। টেলিফোনে তিনি রয়টার্সকে বলেন, “সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে সংখ্যাটি এখনই নিশ্চিত করতে পারবো না আমরা।”
দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শান রাজ্যের বৃহত্তম শহর লাশিও মুখি মহাসড়কের একটি টোল গেটেও লড়াই চলছে। হামলার পর ওই লড়াই আরও তীব্র হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।